এম.এ হালিম,বার্তা সম্পাদক ॥ ভৈরবে পরকীয়ায় এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মনিরুল ইসলাম শম্ভুপুরী নামে ইমামের বিরুদ্ধে । সে শম্ভুপুর শান্তিপুর মহল্লার আল হোসাইন জামে মসজিদের ইমাম ( খতিব) এবং একই এলাকার আলো কান্দা গ্রামে তার বাড়ি বলে জানা গেছে । ধর্ষিতা যুবতী মসজিদের পাশে একটি বাড়ির ভাড়াটিয়া কসাই ইব্রাহিমের কন্যা । পরে এলাকায় ঘটনাটি জানাজানি হলে প্রভাবশালী মহল বিষয়টি টাকার বিনিময়ে আপোষ মিমাংসা করে । এলাকাবাসিরা জানায়,আল হোসাইস মসজিদে দীর্ঘদিন ধরে ইমামের ( খতিব ) হিসেবে চাকুরী করতো মনিরুল ইসলাম শম্ভুপূরী । মসজিদের পাশে একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো ধর্ষিতার পরিবার । সেই সুবাদে দীর্ঘদিন ধরে ওই বাসায় আসা-যাওয়া করতো ইমাম । আসা-যাওয়াতে ২ জনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে । কিন্ত ইমামের পূর্বের স্ত্রী-সন্তান থাকলে ও সে মসজিদে প্রায় সময় রাত্রি যাপন করতো । সেই সুবাদে রাতের আধাঁরে ইমাম যুবতীর ঘরে রাত্রি যাপন করতো ।
বিষয়টি এলাকাবাসির সন্দেহ হয় । পরে গত বুধবার এলাকাবাসিরা ২ জনকে আটক করে । আটকের পর ইমাম কৌশলে পালিয়ে যায় । পালিয়ে গিয়ে ধর্ষিতার পরিবারকে নানাভাবে কৌশলে ফুসলিয়ে ও টাকার প্রলোভনে এলাকার একটি প্রভাব শালী চক্রের মাধ্যমে রোববার রফাদফার মাধ্যমে আপোষ মিমাংসা করে ।

এ বিষয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি রইছ উদ্দিন জানান, ইমাম ভাল মানুষ না হওয়ায় তাকে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ।
মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিবুল্লাহ জানান, শোনেছি তিনি নারী ক্যালেঙ্কারীর কারনে চাকুরী থেকে বরখাস্ত হয়েছেন ।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, মসজিদের ইমাম ( খতিব ) এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়ায় সম্পর্কে তারা একাধিকবার অবৈধ শারিরীক মেলা-মেশায় ধরা পড়েছেন । বিষয়টি অত্যান্ত ন্যাক্কার জনক ।
এ  ব্যাপারে এনপিএস মানবাধিকার ভৈরব শাখার সভাপতি ফয়জুল কবীর জানান, ঘটনাটি শোনে সরেজমিনে গিয়ে জানতে পারেন যে ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি রফাদফার মাধ্যমে কোন প্রকার ডকুমেন্ট ছাড়া আপোষ মিমাংসা করেছেন ।
ইমাম ( খতিব ) মনিরুল ইসলাম শম্ভুপূরীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি পরে জানাবেন বলে ফোন কেটে দেন ।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদমাকছুদুল আলম জানান, এ ঘটনায় থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি ।